Skip to main content

Translation part 3

নারীর কান্না 

( এটি একটি কবিতার ট্রান্সলেশন ।। এখানে কবি সেই সব পুরুষদের কথা তুলে ধরেছে যারা নারীদের ওপর ধর্ষণ ও 
অন্যান্য অত্যাচার করে থাকে ।। নারীদের ওপর এই অত্যাচার আমি ব্যক্তিগত ভাবে সমর্থন করি না এবং এই জাতীয় পুরুষদের শাস্তির দাবি রাখি )

Source : http://www.womensweb.in/2017/01/a-poem-on-victims-of-rape/

ওই আধো আলো ছাওয়ায় 
উঁকি মারছে একটি দানবিক মুখ 
লোভনীয় দুটি চোখ তার খোঁজে 
পরবর্তী শিকার -- 
কোন যৌন চাহিদা পূরণ করতে নয় 
তার মূল লক্ষ্য হল প্রদর্শন করা 
নিজের শক্তি আর ক্ষমতার ভয় ।।

প্রথমে সে আঘাত করবে , চিৎকার আর যন্ত্রনায় 
নিপীড়িতা ছটফট করবে , 
সে দেখতে চায় আহত রক্তাক্ত দেহটি 
তার পায়ের তলায় পড়ে আছে --- 
যেন বিশ্ব বিজয় আজ সম্পূর্ণ তার 
এবং তার একটিই পরিচয় এখন : পুরুষ সর্দার ।।

মেয়েটিকে দেখছিলাম অনেকক্ষন ধরে 
তার কোমরের দুলুনি যেন সাপের মত ,
তার বক্ষ যুগল আমার ভিতরের দানবটিকে জাগিয়ে তুলছে 
ঠিক তখনি সে আমার দোরগোড়ায় হাজির ।।

সে জানতে চাইল , বাড়িটি কার ?
মনে হল , এ মাগিটিকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার 
সারা শরীর থেকে ঝরে পড়া যৌবন রস পান করব আমি 
সে তো ভৃত্য আমার , এ তার কাছে নয় এমন কিছু দামি ।।
শরীরে নয় , অন্তর থেকে মারব তাকে 
জীবন তার আটকে পড়বে কঠিন এক পাঁকে ।।
মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে , 
দেখাই যাক পালায় সে কি করে সব ছাড়িয়ে !!
দোষ তো হবে তার ইস্কুলিয় ছোট পোশাকের 
আর এই হিজড়া সমাজ কিছু না ভেবেই 
নিমেষে দেবে তাকে তাড়িয়ে ।।
শাঁখের করাত সামনে তার --
এমন অবস্থায় পুরুষের হাতে 
নিজেকে সমর্পণ করে দেওয়া 
একমাত্র উপায় তার ।।

ওই যে দূরে আর একজন এগিয়ে আসছে 
দুই সন্তানের মা আর এক স্বাধীন চেতা --
তাকে কেউ বলেনি , সন্ধ্যায় রাস্তায় বেরোতে মানা 
দিনকাল একদম ভাল না ।।
গৃহবন্দি করে রাখা উচিত ছিল 
ভদ্র মহিলার এটাই ধর্ম জেনো ।।
তা নয় , ছোট পোশাকে শরীর দেখাচ্ছে 
নিজেকে এরা কি ভেবেছে !!
এসব করে ছাড় পেয়ে যাবে --
দৈত্য সম্রাট সব জানে ।।
পৃথিবীটা শুধুই পুরুষের জন্য আর নারী 
পৃথিবীতে নগন্য ।।
আমি তাকে আজই এর উচিত শাস্তি দেব 
ফাঁকা রাস্তায় কাপড় খুলে উলঙ্গ বেসে দাঁড় করাবো ।।
তারপর তার কোমল দেহের কোমল অঙ্গে 
কিছু আঁচড় , কিছু আদর আর সবশেষে 
রডের ধারালো আঘাত যোনির ভিতর ঢুকিয়ে দেব ;
এতেও তৃপ্ত না হলে এসিড এর বোতল তো আছেই 
স্নান করিয়ে দেব না হয় !!
এটাই হবে তার কৃত কর্মের উপযুক্ত বিচার 
নারী , ভুলে যাও কেন 
এ পৃথিবী আমার , এ পৃথিবী আমাদের 
তোমরা দাস ছিলে , আছ , থাকবে 
আমাদের মর্জি মত দেহ ঢাকবে --
নাহলে সেদিন দূর নয় , যেদিন এই পায়ে এসে পড়বে 
আর চোখের জলে বলবে ,
" আমাদের মেরো না , মেরো না অন্তর থেকে 
তার চেয়ে অনেক ভাল , আমাদের উলঙ্গ করে দাও 
উলঙ্গ দেহে ভোগ জমাও , আমরা রাজি 
তবু আমাদের বাঁচতে দাও ।।"

Comments

haingjacquis said…
Best casino for gamblers: bonus codes, best slots, best casino bonus codes
No one 서귀포 출장샵 is quite sure how to know when you can find 충주 출장마사지 a no 수원 출장마사지 deposit bonus in 울산광역 출장마사지 casino games. 보령 출장샵 However, if you want to know, we recommend to

Popular posts from this blog

বোধনেই বিসর্জন

বোধনেই বিসর্জনের আয়োজন করতে ! ঢাক ঢোল বেজে উঠতো ! এ উৎসব তো আনন্দের নয় ! মৃত্যু এক প্রেমিকের । ভালোবাসার যোনি ছেদ করে ঢুকে যাবো চলুন ঘুরে আসা যাক তার সৃষ্টির গভীরে প্রেমিকার হাত ধরে কাটিয়ে দেওয়া ঋতুচক্রে চলুন না একবার প্রদক্ষিণ করে আসি আমরাও । ষষ্টি র পাতা লিখে গেছে কবিতায় অসহায় অবস্থা , মিলনের জন্য উদগ্রীব মন গঙ্গা টেমসে মিশুক না মিশুক , প্রেমিকের মন মিশে গেছে প্রেমিকার হৃদয়ে । মদের বোতলগুলো অসহায় ভাবে চেয়ে আছে একজন নেশাতুরকে আর কত নেশায় ভরাবে সে বিসর্জনের জলে হারিয়ে যেতে যার বোধন সামান্য রাম বা হুইস্কি কি আর সামলাবে তাকে !! সপ্তমী খুলে বসলাম এবার । প্রথম দেখা , প্রথম কথা , প্রথম বার রাত জেগে প্রেমিকাকে সাহস করে চুমু খাওয়া এ যেন এক অপরূপ সময় , একটা সম্পদ । সেদিন সে ভাবতে নারাজ ভবিষ্যতে কি হবে , আর যদিও বা উল্টে গিয়ে পাল্টে যায় কিছু সে দৃঢ় ভাবে বলতে প্রস্তুত , আই লাভ হার , সে শুধুই আমার -- অষ্টমীতে প্রেম , হৃদয় ছেড়ে শরীরে বাসা বাঁধে ঘাড় থেকে স্তন ছুঁয়ে ভালোবাসা জঠরে এসে দাঁড়ায় । নবমীর রাত বিষণ্ণ বসে । দুটো মেঘ আড্ডা জমিয়েছে রাত পেরোলেই ফাঁসি হবে পুলিশের ক

ফরাসি বন্দরের মেয়েটাকে লেখা চিঠি

ফরাসি বন্দরের মেয়েটার প্রতি  ভাগ 0 গুলটি , জানো , কাল আমার বই বেরোবে । হিজিবিজি ভরা পাতাগুলো  ওদের মনে ধরেছে । জানো , কাল আমি মঞ্চে উঠবো । ওই ভিড় ঠেলে ওপরে  ওপর থেকে দেখবো শ্রোতাদের । জানো , কাল খুলে যাবে কিছু রহস্য । তাই ভয় হচ্ছে  কে যে কি বিধান ছুড়ে দেয় । তুমি আসবে তো ?  ব্যস্ততা দিন দিন গ্রাস করেছে আমায়  তাই বাড়ি গিয়ে বলে আসা হয় নি আর । কিছু বললে না তো ! রাগ করেছ  নাকি অভিমান এই মানুষটার ওপরে ? আমি অপেক্ষা করে যাচ্ছি । ধোঁয়াশা কেটে যাবে সব  সব আবার ঠিক হয়ে যাবে । হয়তো দিনটা কালই  তোমার ভাষায় , বি পজিটিভ ... ইতি, তোমার গোলু ১১আগস্ট ২০১৮  দুপুর ২:৩৬ ফরাসি বন্দরের মেয়েটার প্রতি  ভাগ ১ গুলটি , টু স্টেটস দেখেছো ?  আমাদের অবস্থা আজ ওই রকম । ভারতের বুকে একই রাজ্যে বসে আছি ।  তবু , অসহায় । আমার খুব মনে হয় জানো  একজন অভিভাবক যদি বুঝতো , আমাদের অবস্থা । মেঘের চোখে জল নেই  আকাশ তবু ভিজে যাচ্ছে । বাজারে ভিড় করে আছে  কলতলা থেকে বেড়িয়ে আসা  শ্রোতার দল ...  মাছের থলিতে গু

Translation work part 2

1. আমি তোমায় সেখানে ভালোবাসতে চাই  ( Based on Pablo Neruda's Here I Love You ) আমি তোমায় সেখানে ভালোবাসতে চাই  যেখানে বাতাস তার পথ ভুলে ছুটে আসে  অন্ধকারে পাইন ঝাড়ের ধারে ।। চাঁদের আলো চকমক করে  ঠিক ফসফরাসের মত,বয়ে চলা মাতাল নদীর জলে ।। দিনগুলো যেখানে একই রকম ভাবে  পেরিয়ে যায় সারিবদ্ধ ভাবে ওই পথ ধরে ।। ঝরে পড়ে বরফ যেখানে নৃত্যের তালে তালে ।। একটি রুপোলি রেখা ওই পশ্চিম কিনারে  ভেসে চলেছে , তারাদের সাথে , দূর থেকে বহু দূরে ।। ওই দেখো জাহাজের মাস্তুল খানি  ওই দূরে , একা অন্ধকারময় ।। কখনো আমি জেগে উঠেছি আগেভাগে ,  এক অতৃপ্ত পরমাত্মার ডাকে ।। শুনেছি সাগরের ডাক বারেবারে আর বুঝেছি  কোন এক বন্দরের কিনারায় 'মরা দাঁড়িয়ে ।। আমি তোমায় সেখানে ভালোবাসতে চাই  ভালোবাসতে চাই তবু সে দিগন্ত তোমায় বৃথা নিয়ে যায়  নিজের অন্তরালে ।। এই শিতলতার মাঝেও তোমায় ভালোবাসতে চাই ।। যদিওবা কখনো আমার চুম্বনগুলো  লক্ষভ্রস্ট হয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে ,  অচেনা বয়ে চলা ভারী পণ্যগুলোর গা ঘেঁষে ---  যারা ভেসে চলেছে  আমারই পাশে পাশে , ফিরে আসবার কোন খবর নেই ।। তখন নিজেকে একজন বুড়ো নোঙ্গর